জানি একদিন আমি চলে যাবো সবি ছেড়ে, #sdpmijan

 জানি একদিন আমি চলে যাবো সবি ছেড়ে, #sdpmijan

 জানি একদিন আমি চলে যাবো সবি ছেড়ে,

যত বুক ভরা দুঃখকষ্ট নিয়ে,
ফিরবোনা কোন দিন এই পৃথিবীতে,
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে,
জানি একদিন ভুলে যাবে সবাই আমায়,
আমার স্মৃতি মুছে যাবে এধারায়,
জানি একদিন এক মুহূর্ত কারোও
মনে পড়বেনা আমার কথা,
ফিরবোনা কোন দিন এই পৃথিবীতে,
কোন কিছুর বিনিময় এই পৃথিবীতে,
একদিন চলে যাবো,


#sdpmijan

আসসালামু_আলাইকুম

আসসালামু_আলাইকুম
#আসসালামু_আলাইকুম।

মহান আল্লাহ্তায়ালা মুমিনগনের পরিচয় দিয়েছেন,
আমি তাদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করবো তারা নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে, সৎকাজের আদেশ দেবে ও অসৎকাজে নিষেধ করবে,
আর কর্মের প্রতিফল তো আল্লাহর নিকটই।

(#সূরা_আল_হাজ্জ_আয়াত_৪১)
,
,
,#আমিন#

জীবনে সুখ আসে। আবার দু:খ আসে।

 জীবনে সুখ আসে। আবার দু:খ আসে।

পার্থিব জীবন সুখ দু:খের সম্মিলিত উপাদানে মোড়ানো। জীবনে সুখ আসে। আবার দু:খ আসে। সুখ কিংবা দু:খ যা ই আসুক জীবন থেমে থাকে না। দুঃখ, কষ্ট, বিপদ ও সঙ্কট মানুষের পার্থিব জীবনের অবিচ্ছিন্ন প্রসঙ্গ। কেউ দু:খ কষ্টে নিপতিত হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মানুষের শরীরে, মন মানসিকতায়, তার পরিবারে, তার সম্পদে এমনকি তার দেশেও পরিলক্ষিত হতে পারে। 
দু:খ কষ্টে পতিত হলে মানুষের স্মরণ করা প্রয়োজন তার মহান রবের অমোঘ ঘোষণা। যে ঘোষণায় তিনি বলেছেন- 
‘তিনি যদি তোমাকে বিপদ দিতে চান, তিনি ছাড়া এ বিপদ থেকে বাঁচানোর কেউ নেই। তিনি যদি তোমাকে কল্যাণ দিতে চান, এ কল্যাণ ঠেকানোর কেউ নেই। তিনি সব বিষয়ে ক্ষমতাশালী।’ আল কুরআন
কোরআনে কারিমের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে-
‘বলো, তোমাদেরকে জল ও স্থলের অন্ধকার থেকে কে রক্ষা করেন? তোমরা তাকে ডাকো বিনয়ের সঙ্গে ও গোপনে। তোমরা বলো, তিনি যদি আমাদেরকে এর থেকে রক্ষা করেন তাহলে আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবো।’ আল কুরআন
একজন মুসলিম মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন, আল্লাহতায়ালাই সব সঙ্কট থেকে রক্ষাকারী। সব বিপদ ও কষ্ট দূরকারী। এ বিশ্বাস নিয়ে সে তার কাছে দোয়া করে নিষ্ঠা ও বিনয়ের সঙ্গে। কেননা আল্লাহতায়ালা বলেন- 
‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’ আল কুরআন
সুতরাং, কষ্ট ও বিপদের সময় এক দিকে যেমন দুআ করতে হবে; অন্য দিকে আশা পোষণ করতে হবে, আল্লাহ পাক সঙ্কট থেকে প্রশস্ততার দিকে নিয়ে যাবেন, দুশ্চিন্তামুক্ত করবেন। দুআয় ওইসব বিষয়কে উসিলা তথা মাধ্যম বানানো উচিত, যেগুলোকে হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাধ্যম বানিয়েছেন। 
ইমাম তিরমিজি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সঙ্কটকালীন সময়ে বলতেন- 
‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’ 
অর্থাৎ ‘হে চিরঞ্জীব, হে নিজ থেকে প্রতিষ্ঠিত! আমি আপনার করুণা ও দয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাই।’
বিপদ ও সঙ্কট থেকে রক্ষা পাওয়ার আরেকটি দুআ হলো- হযরত ইউনূস আলাইহিস সালাম মাছের পেটে থাকাবস্থায় যে দুআটি পড়েছিলেন। তা হচ্ছে- 
‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ 
অর্থাৎ ‘আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত।’
হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- 
‘কোনো মুসলিম এটি পড়ে আল্লাহর কাছে দুআ করলে, আল্লাহ পাক তাতে সাড়া দেবেন।’ -মুসতাদরাকে হাকেম
কারন, এটি মূলত: আল্লাহ তাআলারই ঘোষণা। তিনি বলেন- 
‘আমি তার (ইউনূসের) ডাকে সাড়া দিয়ে, তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছি, অনুরূপ মুমিনদেরকে আমি মুক্তি দেবো।’
সঙ্কট থেকে মুক্তি, কঠিন অবস্থা দূর করা, কিয়ামত দিবসের বিভীষিকাময় অবস্থান থেকে পরিত্রাণ লাভের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো- আল্লাহ তাআলার প্রতি দৃঢ় ঈমান, তার সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা, তার অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে এমন সকল কর্মকান্ড বর্জন, হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নাহর যথাযথ অনুসরণ, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার বিধান অনুযায়ী সব কাজ সম্পাদন, এবং তার বিপরীতে চলা থেকে সর্বদা সতর্ক থেকে পার্থিব ক্ষনস্থায়ী জীবন পরিচালনা করা। 
আল্লাহ পাক আমাদের তাওফিক দান করুন।

জীবনে অনেক ভুল করেছি।

জীবনে অনেক ভুল করেছি।

জীবনে অনেক ভুল করেছি। 
তবে জীবনে শুধু একটাই বড় ভুল করেছি। কাউকে বিশ্বাস করে। ভালোবেসে। পাগলের মতো ভালোবেসে। 
যে ভালোবাসার জন্য আজো এতোটা কষ্ট পাচ্ছি। এতোটা কষ্ট।
সে হয়তো জানেনা তার জন্য আজ আমার কি অবস্থা। জানেনা কেমন আছি আমি। জানেনা কতটা কষ্টে আছি আমি। হয়তো মনে করে ভালো আছি আমি। মনে করাটা খুবই সহজ। বাস্তবটা অনেক কঠিন। অনেক কঠিন। 
সে খুব সহজেই আমাকে ছেড়ে যেতে পেরেছে। আমাকে ভুলে থাকতে পেরেছে। আমি পারিনি ভুলতে। 
তার স্মৃতি আজো মনে পরে। তার কণ্ঠ। আজো কানে বাজে। তার দেয়া কষ্ট আজো কষ্ট দেয়। আজো। 
অনেকগুলো দিন পার হয়ে গেছে। বদলে গেছে সব কিছুই। আমিও। তবু বদলায়নি আমার ভালোবাসা। বদলায়নি তার স্মৃতি। কখনো বদলাবে না। কখনো না।

জীবনের কিছু বাস্তব কথা !!!

জীবনের কিছু বাস্তব কথা !!!

জীবন এত ক্ষণস্থায়ী বলেই মাঝে মাঝে সবকিছু এমন সুন্দর মনে হয়।
বেশি দিন ভালবাসতে পারে না বলেই ভালবাসার জন্য মানুষের এত হাহাকার।
তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে। সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে।
হৃদয়ের গভীরে যার বসবাস, তাকে সবকিছু বলতে হয় না। অল্প বললেই সে বুঝে নেয়।
মানবহৃদয় আয়নার মত। সে আয়নায় ভালবাসার আলো পড়লে তা ফিরে আসবেই।
কাগজে-কলমে কোন সৌন্দর্যের যথার্থতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সৌন্দর্যের মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়াতে হয়। সুখী হওয়ার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে মানুষের। এ জগতে সবচেয়ে সুখী হচ্ছে সে, যে কিছুই জানে না। জগতের প্যাঁচ বেশি বুঝলেই জীবন জটিল হয়ে যায়।
সব শখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। যেসব মানুষের শখ মিটে গেছে তারা অসুখী।
যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
অতি সামান্য জিনিসও মানুষকে অভিভূত করে ফেলতে পারে।
খুব বেশি সুন্দর কোন কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। খুব ভাল মানুষরাও বেশি দিন বাঁচে না। স্বল্পায়ু নিয়ে তারা পৃথিবীতে প্রবেশ করে।
যখন কেউ কারো প্রতি মমতা বোধ করে, তখনই সে লজিক থেকে সরে আসতে শুরু করে। মায়া-মমতা-ভালবাসা এসব যুক্তির বাইরের ব্যাপার।
বেশি নৈকট্য দূরত্বের সৃষ্টি করে। প্রিয়জনদের থেকে তাই দূরে থাকাই ভাল। সম্পর্ক স্থির নয়, পরিবর্তনশীল।
অতি দ্রুত যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, উষ্ণতা কমে যেতেও তার সময় লাগে না।
স্মৃতি সুখ বা দুঃখের যাই হোক, সবসময়ই কষ্টের। দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ছড়াতে হয় না। ছড়িয়ে দিতে হয় আনন্দ। দুঃখ ভুলে যাওয়া কঠিন। তবে সুখস্মৃতি মনে রাখা তার চেয়েও একটু বেশি কঠিন।
মোহের কাছে পরাজিত হওয়া ঠিক নয়। কিন্তু খুব কম মানুষই মোহযুদ্ধে অপরাজিত থাকে।
সুন্দর স্বপ্ন আফসোসেরও কারণ। বাস্তবতা যতই মধুরই হোক, স্বপ্নের মত হয় না। স্বপ্ন পূরণ হতেই হবে সেটা কিন্তু সত্যি নয়। স্বপ্ন দেখতে হয় আর সেটার জন্য কাজ করতে হয় - এটা হচ্ছে সত্যি।
প্রতিজ্ঞা করার আগে তাই একটু হলেও ভাবা উচিত। মিথ্যা দিয়ে হাসানোর চেয়ে সত্য বলে কাঁদানোই শ্রেয়।
চোখের জলের মত পবিত্র কিছু নেই। এই জলের স্পর্শে সব গ্লানি-মালিন্য কেটে যায়।
কিছু কথা শুধু নিজের ভেতর রাখো। দ্বিতীয় কেউ জানবে না। কোনভাবেই না। দুই জন জানলে বিষয়টা গোপন থাকে। তিনজন জানলে নাও থাকতে পারে। আর চারজন জানা মানে সবাই এক সময় জেনে যাবে।
রহস্য সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। কৌতূহলেরও জন্ম দেয়।
বলার আগে শুনে নাও, প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে চিন্তা কর, সমালোচনার আগে ধৈর্য্য ধর, প্রার্থনার আগে ক্ষমা চাও, ছেড়ে দেয়ার আগে চেষ্টা কর।
না চাইতেই যা পাওয়া যায়, তা সবসময় মূল্যহীন।
পায়ের আলতা খুব সুন্দর জিনিস। কিন্তু আলতাকে সবসময় গোড়ালীর নিচে পড়ে থাকতে হয়, এর উপরে সে উঠতে পারেনা।
অতিরিক্ত যেকোন কিছু পতন নিয়ে আসে। সবকিছু তাই নির্দিষ্ট সীমায় রাখাই শ্রেয়।
চুপ থাকা খুব সহজ একটা কাজ। পারস্পরিক বহু সমস্যার সমাধান শুধু চুপ থাকলেই হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের সবচেয়ে বড় অযোগ্যাতা হচ্ছে সে মুখ বন্ধই রাখতে পারে না, অপ্রয়োজনে অনর্গল বকে যায়।
সৎ থাকো। অবশ্যই সুখী হবে।
দুর্নামকারীরা সাধারণত আড়ালপ্রিয়। সামনে ভাল মানুষ সেজে বসে থাকে।
বুদ্ধিহীনরা তর্কবাজ হয়। নিজের বুদ্ধির অভাব তর্ক দিয়ে ঢাকতে চায়।
বিচার যখন থাকে না, সমস্যার সমাধানও হয় না। সব সমস্যা বরং পুঞ্জীভূত হয় আরও। আমাদেরও তাই হচ্ছে।
পরিস্থিতিই মানুষকে তৈরি করে। পরিস্থিতি যখন বদলে যায়, মানুষও তখন পাল্টে যায়। মানুষ আসলে জলের মত। পাত্রের সঙ্গে সঙ্গে সে তার আকার বদলায়।
এই পৃথিবীর প্রতিটি দিনই সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময়ী এখানে আসলে আমাদের প্রতিটি মুহুর্তই।
মানবজাতি ধীরে ধীরে সব সুযোগকেই উপলদ্ধি করবে। অবশ্যই সব সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিবে।
উপকার করার পর 'করেছি' বলার চেয়ে সাহায্য না করাই শ্রেয়।
জীবনের জটিল ও মূল বিষয়গুলো মানবজাতির কাছে রহস্যাবৃত হয়ে থাকে। এর চেয়ে সুন্দর আর কী হতে পারে?
চলতে শুরু না করলে পথ হারাবার ভয় থাকে না। কিন্তু তাতে গন্তব্যে পৌছানোর আশাও ফুরিয়ে যায়। মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ কারও কাছ থেকে বিদায় নেয় না। মায়া নামক ভ্রান্তি তাকে ত্যাগ করে। গ্রাস করে তখন ভয় নামক অনুভূতি। মৃত্যু ভয়াবহ নয়, কুৎসিতও নয়। এর সৌন্দর্য জন্মের চেয়ে আসলে কোন অংশে কম নয়। এই অংশের সাথে পরিচিত নই বলেই আমরা একে এত ভয় পাই।
ভয়াবহ বিপদ কিংবা দুর্যোগের সামনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। একে অন্যের কাছে আশ্রয় খোজেঁ, আশ্রয় খোঁজে প্রকৃতির কাছে। সবাই দাঁড়িয়ে যায় একই কাতারে। বৈষম্য ও অনাচার বেষ্টিত এই আবাসভূমি হয়ে যায় সাম্যবাদের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। বড় ধরণের বিপদ-আপদের প্রয়োজন তাই পৃথিবীতে এখনও আছে।প্রতিটি বিপদের দুটি অংশ থাকে। বিপরীত অংশটি হল জীবন।
নগদ টাকা আলাদীনের চেরাগের মত। হাতে থাকলে পৃথিবী নিজের হয়ে যায়।
পথ কখনও শেষ হয় না। দীর্ঘ ভ্রমণের পর গন্তব্যে পৌছেও কেউ স্থির থাকে না। ছুটতে শুরু করে অন্য কাজে, অন্য পথে, অন্য আরেক লক্ষ্যস্থলে।
এক একটি দিন শেষ করে আমরা এগুতে থাকি চুড়ান্ত যাত্রার পথে। মানবমৃত্যুই পথের সমাপ্তি। নিরন্তর ছুটে চলা মানুষের শেষ গন্তব্য। সবাই মারা যায়। কিন্তু সবাই চলে যায় না।
নিঃস্বার্থ কর্মী মানুষরা মৃত্যুর পরও থেকে যায়, কর্মপূণ্যে থেকে যায় মানুষের মনে - যুগের পর যুগ ধরে।
x

এটাই প্রেমের বাণী।

এটাই প্রেমের বাণী।


ভালোবাসায় কষ্ট আছে, হৃদয় পুড়ে জানি।
নষ্ট সুখের কষ্ট বুকে
ছাই চাপা রয়, জ্বালায় ধুকে,
ভালোবাসার কষ্ট যে তাই বড়ই অভিমানী!

কিন্তু প্রেমের আগুনেরও ফুলকি যখন ওড়ে,
তারই মাঝে অসীম সুখের স্বপ্ন বেড়ায় ঘুরে!
ফুলকিগুলো ছাই হলে তাও
ছাইয়ের মাঝে কষ্ট ছাড়াও
ছোট ছোট স্মৃতির কণায় সুখেরই হাতছানি!

অভিনয়ে যতোই হাসি,
তার আড়ালে সর্বনাশী
সর্বগ্রাসী পাগলপারা তুফান যতোই নাচে,
সুখের স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই ভালোবাসা বাঁচে।

ছাইয়ের থেকেও নতুন করে যে প্রেম উঠে জ্বলে,
তাকেই জানি ভালোবাসার অমর স্বরূপ বলে।
অভিমানের দুয়ার খুলে
কষ্ট দলে কষ্ট ভুলে
ভালোবাসা বাঁচতে শেখায়, এটাই প্রেমের বাণী।

শেষ আয়োজন

শেষ আয়োজন




যাপিত জীবনের স্বপ্নগুলির অপূর্ণ রূপ
তবু আজ অনুভূতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে নিশ্চুপ!
প্রান্তিক সময়ের আচমকা ঝোড়ো হাওয়াই
শেষ কটি বিবর্ণ পত্র এখন ঝরার অপেক্ষায়।

সময়ের তরণী ছেড়ে গেছে বহুবার
প্রস্তুতির বাহুল্যে, উপস্থিতি হয়নি আমার।
এবারের আয়োজন নিতান্তই অপ্রতুল -
এখনো অফুটন্ত যে ফুল
তার সৌরভ পাওয়ার আকাঙ্খা নিতান্তই অস্থায়ী,
সবকিছু ফেলে রেখে যাওয়া, তবু নেই কিছু অনাদায়ী।
কবিতার অর্ধেক অলিখিত যদি
অর্ধেক সে কবিতার দুর্বোধ্যতা থাক নিরবধি
যে গানের আস্থায়ী সবে হলো গাওয়া
সে গানের অন্তরা নয় আর চাওয়া।

দাঁড় নেই, পাল নেই, মাঝি নেই তরণীর
তাগিদ নেই পাল্টানোর ঘুনে খাওয়া কাঠগুলির
ভগ্নপ্রায় তরণী বিশাল সমুদ্র বুকে
নিশ্চিত গতিতে শুধু যাবে সম্মুখে
ক্ষয়িষ্ণু বাতাসের অচঞ্চল স্থবিরতা
অথচ কূলে পৌঁছানোর পূর্ণ নিশ্চয়তা!

ওপারে যে আলোর হাতছানি
উন্মুখ রাখে তন্দ্রাচ্ছন্ন চৈতন্যখানি
সে যদি নিতান্তই আলেয়ার কণা
তার লক্ষ্যে দীর্ঘ পথ হাঁটা নয় প্রতারণা
এতটা পথ হেঁটে যে পথ হয়েছে চেনা
পথ চলা শেষে, সেই পথ শেষ হবে না।

এ যদি নিতান্তই চলার শেষ
ভয় নয়, থাক তাতে জীবনের সবকিছুর রেশ
শেষ যদি অন্ধকার, তবে যেন আসে তা বর্ণালী আলোয়
আয়োজন মন্দ, তবু যেন শেষ হয় ভালোয়।

সুখ-দুঃখ

সুখ-দুঃখ


আমার, অনেক অনেক দুঃখের মাঝে সুখও আছে নানা
দুঃখ-সুখের বহুদিনের ভীষণ চেনা-জানা।
দুঃখের জলেই সুখগুলোকে চিনি,
চোখের জলেই সুখগুলোকে কিনি।
তাই) সঙ্গ দিতে দুঃখটাকে আর করি না মানা।

স্মৃতি থেকে দুঃখগুলো হারিয়েছে দূরে,
দুঃখগুলোও স্মৃতির পাতায় বেড়ায় সুখের সুরে।
সেই) স্মৃতির মায়া আঁকড়ে ধরেই জীবনটাকে টানা,
জীবন আমার দুঃখ-সুখেই পেয়েছে ঠিকানা।

দুঃখ আমার, সুখও আমার, দু'টোই ভীষণ দামী
ভাঙ্গা-গড়ার উথাল পাথাল, দুই মিলিয়েই আমি।
তাই) নিজেকে আজ স্বীকার করে তবেই হল জানা,
সুখ ও দুঃখের একের মাঝে অপরের সীমানা।

কপালের দোষ তবে!

কপালের দোষ তবে!

যে সময় চলে গেছে তাকে ফিরিয়ে আনবে কে আর?
যে সময় হাতে পেয়েছো এখন করো তার সদ্ব্যবহার।
হারানো সময় হারানোই থাকে, রয়ে যায় তার স্মৃতি;
সেই স্মৃতি বুকে আগলে রেখে গেয়ো না ব্যথার গীতি।
হৃত সে সময় রেখেছে যে ছাপ তোমার মনের কোণে
নিত্য অবসরে তারে করবে স্মরণ নীরবে আপন মনে।
অতীতকে যে শুধু ভাবলো অতীত, শিখে না আর কিছু
অসংখ্য বিপদ আর সমূহ আপদ ছুটে যায় তারই পিছু।
সময়ের কাছে যে নেয় না শিক্ষা সেই তো ভোগে ভবে
অসময়ে বসে কাঁদে একা একা, কপালের দোষ তবে!

তোমার কথা মনে পড়ে যায়

তোমার কথা মনে পড়ে যায়


আকাশ যখন ঢেকে যায় শীতের কুয়াশায়
দৃষ্টি যখন ঝাপসা হয়ে আসে বেদনার অশ্রুতে
জানি না ঠিক তখনও কেন তোমার কথা
মনে পড়ে যায়।
তোমার ঐ ভ্রমর কালো দুটি চোখ ভেসে ওঠে
মনের জানালায়।

দিনের আলো নিভে যখন চারপাশ আঁধারে ছেয়ে যায়
মৃত জোছনা পড়ে থাকে ঝোপের ছায়ায়
জানি না ঠিক তখনও কেন তোমার কথা
মনে পড়ে যায়।
তোমার ঐ লাজুক হাসিতে রাঙা চাঁদমুখ উঁকি দেয়
মনের জানালায়।

যখন শ্রাবণের বৃষ্টিতে উদাস দৃষ্টি চলে যায় দূর সীমানায়
বানের জলে মিশে স্বপ্নেরা সুদূরে মিলায়
জানি না ঠিক তখনও কেন তোমার কথা
মনে পড়ে যায়।
তোমার ঐ মেঘকালো চুল পুষ্পের সৌরভ ছড়ায়
হৃদয়ের আঙিনায়।

বিবেক অশ্রু

বিবেক অশ্রু


ধরনীর বুক ছেড়ে চলে যাব একদিন...
যাবার বেলায় বড় জ্বালা এই বুকে!
দেখেছি আমি সোনালী ধানে রক্তের ছাপ।
তবু কেন মনে এই বাসনা জাগে,
শত সহস্র বছর পরে, আবার আসি ফিরে।

আলপথে পাকা ধানের ঘ্রাণে জুড়াই প্রাণ।
পূর্ণিমার রাতে লক্ষ্মী পেঁচা,
তখনও কি থাকবে বসে?
সহস্র বছর পরে শঙ্খচিল হয়ত
ডানা মেলে উড়ে গেছে বহুদূরে!
ঘাসফড়িং কি থাকবে অপেক্ষাতে?

জানি না তবুও কেন ফিরতে চায় মন...
তখনও কি ঘর্মাক্ত কপাল মুছিয়ে দেবে তোমার স্নিগ্ধ আঁচল!
এত শোভা, প্রেম, ভালোবাসায়
কোথা থেকে এলো বিদ্বেষ হিংসা?
সোনালী ধানে আজ রক্তের দাগ...
সহস্র বছর ধরে বিবেক অশ্রু জলে সে দাগ মুছে দিও বন্ধু!

উচাটন মন, উতলা প্রতিক্ষণ;
ফিরে পেতে চায় ভালোবাসা।
যদি আসি...
হিন্দু নয়, মুসলিম নয়, খ্রিস্টান নয়,
নাম ধরে ডেকো আমায়।
আমি তোমাদেরই একজন...

হৃদয়ের ঋণ

হৃদয়ের ঋণ
আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,
খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে
বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর
বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত
গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি
কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত
অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন দামী,
একবার আসে, তাকে ভালোবেসে যদি
অমার্জনীয় অপরাধ হয় হোক,
ইতিহাস দেবে অমরতা নিরবধি
আয় মেয়ে গড়ি চারু আনন্দলোক।
দেখবো দেখাবো পরস্পরকে খুলে
যতো সুখ আর দুঃখের সব দাগ,
আয় না পাষাণী একবার পথ ভুলে
পরীক্ষা হোক কার কতো অনুরাগ।