এই পৃথিবীতে ‘কারণ’ ছাড়াভালবাসে না।


একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন, এই পৃথিবীতে
কেউ আপনাকে ‘কারণ’ ছাড়া
ভালবাসে না।
.
আপনি দেখতে সুন্দর ও আকর্ষনীয়- মানুষ
আপনাকে ভালবাসবে। অনেকে
আপনার
চেহারার প্রশংসা করবে।
.
আপনি খুব মেধাবী স্টুডেন্ট, ভবিষ্যত
দারুন
উজ্জ্বল- মানুষ আপনাকে ভালবাসবে।
অনেকেই আপনাকে আরও ভালো করতে
উৎসাহিত করবে।
.
আপনি ভালো গান গাইতে পারেন-
মানুষ
আপনাকে ভালবাসবে। আপনার গান
শুনতে
চাইবে। আপনাকে গান গেয়ে আরও বড়
কিছু
হওয়ার স্বপ্ন দেখাবে।
.
আপনি ভালো লিখতে পারেন- মানুষ
আপনাকে ভালবাসবে। আপনাকে
বাহবা
দিবে। নতুন কোনো বই অথবা পত্রিকায়
কলম
লিখতে উৎসাহিত করবে। অথবা
ফেসবুকে
আপনারপোষ্টের কমেন্ট বক্সে
ভালবাসার
ফুলঝুরি ছুটাবে। বিপরীত লিংগের
মানুষ
থেকে শুরু করে একই লিংগের মানুষ
গুলোও
‘লাভ’ইমো দিবে।
.
আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে
পারেন।
কথার যাদুতে যে কাউকে মুগ্ধ করতে
পারেন-
মানুষ আপনাকে ভালবাসবে। আপনি
তাদের
আড্ডার মধ্যমণি হয়ে থাকবেন। সবাই
আপনার
সাথে কথা বলতে চাইবে। প্রয়োজনে
মোবাইলে ১২ টাকায় ৪০ মিনিট
কিনে নিবে।
.
আপনি ভালো খেলেন- মানুষ
আপনাকে
ভালবাসবে। আপনি মাঠে নামলেই
মাঠের
চারপাশ থেকে দর্শকের হাততালি ও
চিৎকারের ধব্বনি ভেসে আসবে।
.
...পৃথিবীতে ভালবাসাটা তাদের
জন্যই
বরাদ্দ, যাদের অবশ্যই কোনো না
কোনো
গুণের অধিকারী হতে হবে।
ভালোলাগার মত
একটা সাইড থাকতেই হবে। অতঃপর সেই
ভাললাগাটাকে কেন্দ্র করেই মানুষ
তাকে
ভালবাসবে।
.
বিচিত্র কোনো এক কারনে, মানুষ
একদমই
সাদামাটা ও সাধারণ কাউকে
ভালবাসতে
পারে না। না পায় তারা
আশেপাশের
মানুষের ভালবাসা, না পায় তারা
বিশেষ
মানুষটির ভালবাসা। কেবলমাত্র
নিজের মা-
বাবা এবং রক্তের সম্পর্ক গুলো ছাড়া।
.
বিশেষ মানুষটির ভালবাসা সে
কোনো ভাবে
পেয়ে গেলেও, সেই বিশেষ মানুষটি
একটা
সময় তাকে ছেড়ে চলে যায়, তাকে
প্রতারিত
হতে হয়। গভীর রাতে বালিশ জড়িয়ে
কাঁদতে
হয়।
.
সেই বিশেষ মানুষটিও তাকে ‘কারণ’
ছাড়া
ভালবাসেনি। সেই কারণটি ছিল
স্বার্থ।
যেকোনো প্রকার স্বার্থের জন্যই সে
তার
মত একদমই সাধারণ কাউকে
ভালবেসেছিল!
স্যরি ভুল বললাম, ভালবাসার অভিনয়
করেছিল।
.
যারা মাত্রাতিরিক্ত আবেগের সুরে
বলবে,
‘ভালবাসতে কোনো কারন লাগেনা’
অথবা
‘আমি তোমাকে কোনো কারন ছাড়াই
ভালবাসি’...কথাটা কখনো সত্যই হতে
পারে না।কারণ স্বার্থ ছাড়া কখনো
সম্পর্ক গড়ে উঠে না।