এক একটি সময়কে সজ্ঞী করে বয়ে চলা জীবন,

 ” বিষন্ন প্রহরে”
এক একটি সময়কে সজ্ঞী করে বয়ে চলা জীবন,
ধাপে ধাপে পা রাখার ছাপ
দিনলিপির খাতায় খন্ড ইতিহাস,
রাক্ষসের মতো খেয়ে ফেলেছি
কতগুলো যুগ।
আফসোস,
কেন শুন্যতার খাতায় কিছু লেখা হলনা?
বে হিসাবী জীবন অচেনা পালকের মতো পড়ে আছে,

আজ মনে হয় কিছু চেনা, কিছু অচেনা।
বেওয়ারিশ পথ,জনহীন অরন্যে    –
শুকনো পাতা হয়ে পড়ে থাকা
নিঃশব্দ কথা মালা,
জীবনের বাঁকে ফেলে আসা
প্রতিজ্ঞা আর অজ্ঞিকার,
এতিম শিশু হয়ে কাঁদে।
বিষন্ন প্রহরে কত কিছুইতো মনে পড়ে।
কতকিছুইতো করা যেতো,
কত কিছুইতো হওয়া যেতো,
কেন তা হয়নি?
একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন উপন্যাসের শেষ লাইনে।
পা ভাঙা ঘোড়ার মতো দাঁড়িয়ে
থমকে গেছে ঘড়ির কাটা
পড়ে থাকা ডায়ালটা কে টানবে দেয়ালে?
জীবনকে জীবন দিয়ে লেখা,
জীবনকে জীবন দিয়ে গড়া
সেইতো নিয়ম  জীবনের।
অথচ বাধা কে নিয়তি ভেবে
ব্যার্থতা আর হতাশার দহনে পুড়ে
গুনেছি প্রহর,
তাই জীবনে যবনিকাপাত হয়েছে বার বার,
সাদা চুলে ছেয়ে গেছে মাথা,
শূন্য পাতায় মস্ত খাতা।
কতগুলো এলোমেলো রেখা
অসম্পূর্ন জীবন  গাথা,
কিছুই  নেই দেখবার।
খন্ড মেঘের ভেলা হয়ে
বিশাল আকাশে ভেসে ভেসে
অদৃশ্য হয়ে যাব দূর থেকে দূরে।
পৃথিবী পেলো না বৃষ্টির ফোটাএ জীবন সে জীবনেরই ছাপ।