প্রতিটি সম্পর্কেরই একটি নাম, রূপ, ভালবাসা রয়েছে।

প্রতিটি সম্পর্কেরই একটি নাম, রূপ, ভালবাসা রয়েছে। ঠিক সেভাবে একেকজনের স্থানটি একেক রকমের হয়। রক্তের সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক, সামাজিক সম্পর্ক, প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি এদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিধি-নিষেধও রয়েছে। কোন সম্পর্কই সীমাকরণের বাইরে নয়। কোন কিছু লিমিটেশনের বাইরে গেলেই এক ধরণের মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। পরবর্তীতে সেই চাপ থেকে জন্ম নেয় দ্বন্দ্ব, হতাশা এবং ঘটে সম্পর্কের অবনতি।
সম্পর্কের প্রায়োরিটি বুঝতে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো, আমরা ঘরের মানুষ থেকে বাইরের মানুষকে প্রায়োরিটি দিয়ে থাকি অনেকেই। তারা বুঝতেও পারেন না, নিজের অজান্তেই সেই মানুষটি ধীরে ধীরে ঘরের থেকে বাইরেরই হয়ে যান এক সময়। আবার কিছু কিছু বাইরের মানুষ (সবাই নন) তাদের ভালবাসার নাম করে কাজে, অকাজে ব্যবহার করেন এবং ভাবতে থাকেন, হাত বাড়ালেই তাকে পাওয়া যায়। এভেইলেবল ভাবা শুরু করতে থাকেন এবং আপনিও ব্যবহৃত হতে থাকবেন অনেকটা আত্মতৃপ্তি নিয়েই। এটি অনেকটা ক্ষণিকের আনন্দের জন্য স্থায়ী ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
অথচ হোমকে 'হোম সুইট হোম'ই বলা হয়! অন্য কিছুকে নয়। কখনওই টেম্পোরারি ফিলিংসের জন্য পার্মানেন্ট ফিলিংস বা সম্পর্ক নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আগে নিজের জীবনের প্রায়োরিটি লিস্টটি চেক করুন, তারপর এগোন! আমরা ঘরের মানুষকে মূল্যায়ন করি না, ভাবি তারাতো আছেনই!!! এ জন্য বাইরের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করতেই ব্যস্ত! কিন্তু সেই ঘরের মানুষটি তার বিপদে-আপদে, আশা-নিরাশায়, ভালবাসায় তাকে জড়িয়ে রাখেন, আগলে রাখেন সারাক্ষণ। এটি অনেকেই আমরা ভুলে যাই। ভুলে যাই দিন শেষে, সেই ঘরেই ফিরতে হয়, সেই মানুষটির কাছেই ফিরতে হয়।